মাদারীপুরে ২ ভাইসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় নিহত সাইফুল-আতাউরের চাচা হোসেন সরদার ও প্রতিপক্ষ শাজাহান খানসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) সকালে নিহত সাইফুলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মাদারীপুরে অবৈধ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন ভাইকে মসজিদে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের মা সুফিয়া বেগম। শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাতে ৪৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, নিহত সাইফুল ও আতাবুরের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যেখানে নামীয় আসামি করা হয়েছে ৪৯ জন ও অজ্ঞাত আরও ৭০ থেকে ৮০ জন। মামলায় মোহাম্মদ শাহজাহান, মতিন মোল্লা, হোসেন শিকদারের নাম রয়েছে। বাকিদের নাম আপাতত বলা যাচ্ছে না। তবে এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা চলছে।
পুলিশ আরও জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের অবৈধ বালু ব্যবসায় ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মো. শাহজাহান খান ও মতিন মোল্লা গ্রুপের সঙ্গে সাইফুল সরদারের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে শনিবার সকালের দিকে শাহজাহান খান ও সাইফুল সরদারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে বাঁধে। এতে সাইফুল সরদার, আতাবুর সরদার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর পলাশ সরদার নামে একজনকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যদের মোতায়ন করে রাখা আছে।
স্থানীয়রা জানান, কীর্তিনাশা নদী থেকে বালু তোলা নিয়ে খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল সরদারের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী শাজাহান খানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গতকাল শনিবার শাজাহানের সমর্থকরা সাইফুলের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইফুল ও তার বড় ভাই আতাউর মারা যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর নিহতদের বাড়িঘরেও প্রতিপক্ষরা আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন